কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৩৪৫ কোটি টাকা! আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য বাড়েনি। তার পরও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা দফায় দফায় বাড়িয়েছেন কাগজের মূল্য। পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি টন কাগজের মূল্য বেড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’কে ঘিরে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে কাগজের কৃত্রিম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সে কারণে কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে। টন প্রতি কাগজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজন ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ। সে হিসাবে কাগজ মিলের মালিকরা ঐ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাচ্ছে না পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের ১১৬ ছাপাখানা। কাগজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ছাপাখানা গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে বই ছাপানো বন্ধ রাখছে। কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে পাঠ্যবই ছাপাচ্ছে এমন অনেক ছাপাখানাকে দিনের বেশ কিছু সময় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কাগজের সাথে সম্পৃক্ত অনেকে মনে করেন, এভাবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। অন্যদিকে কাগজের কৃত্রিম সঙ্কটের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে। কাগজের কৃত্রিম সঙ্কটের নেপথ্যে সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রয়োজনীয় পরিমান কাগজ আমদানি করার জন্য এই সেক্টরের সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহেণের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।