সম্মতি ছাড়াই কণ্ঠস্বর বা ছবি বিকৃত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রার্থী এবং অন্যদের ভুলভাবে উপস্থাপন নিষিদ্ধ চান কানাডার নির্বাচন প্রধান। ভোটারদের বোকা বানাতে ব্যবহৃত ডিপফেক এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি অন্যান্য আধেয় বন্ধে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা স্টেফানি পেরো যেসব ব্যবস্থার কথা বলছেন কানাডা ইলেকশন অ্যাক্টের প্রস্তাবিত পরিবর্তন তার মধ্যে অন্যতম।
এক সাক্ষাৎকারে পেরো বলেন, নির্বাচন সংস্কার বিলে নতুন কিছু অন্তর্ভুক্তিতে এমপিদের রাজি করাতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। বর্তমানে বিলটি হাউস অব কমন্স কমিটিতে রয়েছে। ডিপফেকের মতো হস্তক্ষেপের কৌশল যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ্য আলোপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কানাডায় এটা এখনো নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য সামান্যই আঘাত। আমাদের এটা স্বীকার করতেই হবে যে, নির্বাচনের সব ধরনের সমস্যাই হতে পারে এবং এ ব্যাপারে কথা বলতে আমাদের তৈরি থাকতে হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে হুমকি থেকে রক্ষা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে আইনি এই প্রস্তাব করেছেন পেরো। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি সংসদ এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত ফেডারেল ইনকোয়ারি কমিশনেও দাখিল করা হয়েছে।
আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্সচালিত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম ছবি, ভিডিও এবং অডিও তৈরি সহজ হয়ে আসছে, যা লোকজনকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে এবং বিভ্রান্তির বীজ রোপন করছে।
এ ধরনের ডিপফেক চাতুরি ভিডিওতে কোনো ব্যক্তির মুখচ্ছবি ভিন্ন কোনো ব্যক্তির দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয় এবং
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠ বিকৃত করা হয়। পেরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি লোকজনের ছবি এমন কিছু করছে, যা তারা কখনোই করেনি। অডিওতে তারা এমন কিছু বলছে, যা আগে কখনোই বলেনি। অথবা তৈরি করা ভিডিও গণতন্ত্রকে হুমকিতে ফেলে দিতে পারে এবং কোনটা আসল এবং কোনটা ডিপফেক ভোটারদের পক্ষে তা জানা কঠিন করে তোলে।