মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার দেশে ফিরেছেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সব পণ্যে শুল্ক আরোপের যে হুমকি দেওয়া হয়েছে তা থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা তিনি পাননি। ট্রাম্প এই আলোচনাকে ফলপ্রসূ বললেও তার প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসার কোনো ইঙ্গিত দেননি।
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগো ক্লাবে শুক্রবার রাতে উভয় নেতা তড়িঘড়ি ডিনারের আয়োজন করেন। এরপর দারুণ সংলাপ হয়েছে বলে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে উল্লেখ করেন ট্রুডো। সেখানে একটি ছবিও পোস্ট করেন ট্রুডো, যাতে উভয় নেতাকে একটি টেবিলের সামনে বসে থাকতে দেখা যায় এবং দুজনেই হাসছিলেন।
ট্রাম্প এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে, যেগুলো সমাধানে উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
যেসব সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার প্রয়োজন তার মধ্যে ফেন্টানাইল এবং মাদক সংকট, ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি, উত্তরের মিত্রদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে চীন থেকে এসব ফেন্টানাইল আমেরিকান পরিবারগুলোর হাতে আসে। আমাদের নাগরিকরা যেহেতু এই মাদক মহামারির বলি হচ্ছেন তাই যুক্তরাষ্ট্র আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
মার্কিন কাস্টমস এজেন্টরা গত অর্থবছরে কানাডিয়ান সীমান্তে ৪৩ পাউন্ড ফেন্টানাইল জব্দ করেন। আর মেক্সিকো সীমান্তে জব্দ করেন ২১ হাজার ১০০ পাউন্ড। এ ছাড়া মার্কিন বর্ডার প্যাট্রল গত অক্টোবরে মেক্সিকো সীমান্তে ৫৬ হাজার ৫৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডিয়ান সীমান্তে গ্রেপ্তার হন ২৩ হাজার ৭২১ জন। কানাডিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্ত নিরাপত্তায় এরই মধ্যে তারা নতুন করে বিনিয়োগ করেছে।