বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কানাডা শাখা আয়জিত কার্যনির্বাহী সভায় অবৈধ আইসিটি বিচার কার্য শুরুর জন্য ইউনুস সরকারকে অবৈধ অখ্যায়িত করে তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। সভায় এই বিচার কার্য দেখার জন্য কানাডার মানবাধিকার সংস্থা ও আইনজীবীদের মধ্যে পাঠানো, আসিটি’তে শেখ হাসিনাকে ডিফেন্ড করার জন্য আইনজীবী পাঠানো সিধান্ত গৃহীত হয়।
ডেভিড শ্লোনসহ কানাডার আরও কয়েকজন আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করে কথা বলেছেন। যারা সংশোধিত আইসিটি আইন এবং পুনর্গঠিত আইসিটি প্রসিকিউশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাদেরকেই পাঠানো হবে বলে মত প্রকাশ করেন। উক্ত কার্যনির্বহী সভায় কানাডা আওয়ামীলীগের সভপতি গোলাম মহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মোহাম্দ মোজাহিত এর সন্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক আব্দুস ছালাম , সহসভাপতি আব্দুল কাদের মিলু, মুন্সি বসির ইতরাত জুবেরি সেলিম, সাজ্জাত হোসেন সুইট, মোহাম্দ চৌধুরী বিপ্লব, সুলতান, মাসুদ সিদ্দীকি, আমরুল ইসলাম, সবুজ , নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
সভা বক্তারা বলেন, মব প্র্যাকটিস এই মূহর্তে বন্ধ করা উচিত। বিরোধী দলের নেতা ও রুট লেভেলের কর্মীদের অপমান করার সেই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ৫ আগষ্ট আগে ও পরে আমি একমত, সেই সব রাজনৈতিক গুন্ডা (তারা বর্তমানে যেখানেই থাকুক না কেন, আমাদের দেশে বা বিদেশে) তাদের পাপের জন্য এবং তাদের নগ্ন কাজের জন্য শাস্তি পেতে হবে। তবে বিচারিক আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
অবশ্যই আমাদের আইন ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা ও নির্ভর করতে হবে। তাছাড়া, আমরা সকলেই নিয়ম ও প্রবিধান মেনে চলতে বাধ্য। কিছু অনুশোচনা এবং কিছু সত্যও রয়েছে। যারা অপরাধ করেছে (প্রমাণভিত্তিক), এই রাজনীতিবিদদের তাদের প্রথম দুর্নীতির খেসারত দিতে হবে। অন্য অংশে, যারা কোনো দিক থেকে দোষী নন তাদের আমাদের দেশের আইন ও বিচারিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া উচিত। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের 100 দিন হয়ে গেছে। কিন্তু, তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আমাদের দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের দেশের গণমানুষের ভালোর জন্য আমরা এখনও কোনো উল্লেখযোগ্য ও কার্যকর পরিবর্তন দেখিনি (যেমন আমরা আশা করেছিলাম) এবং সমগ্র জাতির জন্য কোনো বিভাগে এমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমাদের মধ্যে কেউই ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না। যদিও, এটা আমার কাছে মনে হয় (আমার ব্যক্তিগত মতামত ও মতামত) যে; অদূর ভবিষ্যতে, আমাদের অনেক কঠিন এবং রুক্ষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে, আমাদের প্রতিদিন অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন যথেষ্ট খারাপ হবে। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সমস্ত শ্রেণিবদ্ধ মানুষের জন্য রূপকথার মতো হবে। আমি আমার লেখায় আমার নিজের উপলব্ধি ব্যক্ত করেছি। কিন্তু, প্রাণবন্ত এবং সত্যবশত যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি আমার লিখিত শব্দগুলিকে পিছিয়ে দেব। আমার নিজের কষ্ট এবং উপলব্ধি প্রধান নয় বরং আমার নিজের বাংলাদেশ নামক ভূমিতে। আসুন আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে একটি উন্নত বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করি।