১.
“বিহঙ্গ মেলেছে ডানা”
—————————–
গভীর আঁধার রজনীতে
নিভু নিভু সলতের আলো,
পবনে শিখাটা পূর্ব-পশ্চিম
সলতের নিচে ভয়ঙ্কর কালো।
কুয়াশার মাঝে এতটুকু রোদ
ঝাপসা লোচনে অদৃশ্য আকাশ,
সেটিও এক ধরনের সৌন্দর্য্য
আকাঙ্খা থেকে দীর্ঘশ্বাস।
ক্লান্ত পাখিগুলো ঘরে ফেরে
আলো আঁধারের খেলা,
তাপহীন রোদ জানায় বিদায়
নিস্তব্দ সন্ধ্যে বেলা।
আছড়ে পড়ে
জীবন নদীতে ঢেউ,
চাকচিক্যময় জীবনটা মিছে
বুঝতে চায়না কেউ।|
আকাশে ধূসর অভ্র
কুয়াশায় মোড়ানো আদর,
মধ্যরাতে তারা জ্বলে
সমান দূরত্বের পর।
স্মৃতিতে ভেসে আসে
বেলা – অবেলা,
চোখ দুটো করে তাড়া
অজানা পথে প্রেমের ভেলা।
ছুঁয়েছে হৃদয়
ভেদ করে কাটা তার,
জ্যোৎস্নার প্রভা করেছে আলোকিত
পবনের ছন্দ ভাল লাগে বার বার।
শিশির কনাগুলো হেসে উঠে
মুক্ত দানার মতো জলজলে,
নিরাকার হয়ে যায়
মানুষের কোলাহলে।
কুন্তলে ঢেকেছে নয়ন
বিহঙ্গ মেলেছে ডানা,
যতই আসুক বাধা বিপত্তি
আর গগনে উঠতে মানা।
২.
“রূপালি জ্যোৎস্নার নীরবতা”
————————————–
কুয়াশায় ভেজা জ্যোৎস্নার আলো
ইট কাঠ পাথরের মাঝে শিউলি ফুল,
স্মৃতিগুলো দোলনায় দোলে
ছড়িয়ে আছে ভেজা চুল।
রুগ্ন শরীরে দাঁড়িয়ে
বিষন্নতায় ভরা মুখ,
চোখ দুটো শুধুই খোঁজে
অনাবিল আনন্দ ও সুখ।
চুলের জল পড়ে টিপ টিপ
চোখের জলে নেই শব্দ,
নোনা জলের আঘাতে
একেবারেই স্তব্ধ।
আকাশের সবটুকু নীল
হৃদয়ে মাখামাখি,
বৃষ্টির জলে
স্বপ্নটুকু আঁকাআঁকি।
সবুজের মায়া ছড়ানো
সারি সারি গাছ গাছালি,
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে
মরুভূমির উত্তপ্ত বালি।
নির্জন একাকি বসে থাকা
চারিদিকে কোলাহল,
হৃদয় ছুঁয়েছে ব্যর্থতা
রোদ মাখা দুপুরে চলাচল।
ফুটে আছে ফুল
তবে কি সেই মানুষ,
ফুলের পাশে কাঁটা
হয়না তো হুশ।
৩.
“অনুভব”
————
পবনের হুংকার
নিঃসঙ্গ যাত্রী,
শূন্যতার মাঝে ঝাঁঝালো অনুভব
কাটেনা তমিস্রা রাত্রি।
কাঁচের চার দেয়ালের মাঝে
মিলবে না স্বীকৃতি,
পেঁচা ডাকে গভীর রাতে
সুরটা করেছে বিকৃতি।
বৃষ্টি নামে ঝমঝম
বলে কোথায় বৃষ্টি,
নিজেকে বড় ভাবা
এক ধরনের কৃষ্টি।
প্রভাকর উঠেনি প্রভাতে
স্রোত স্বতিতে উঠেছে ঢেউ,
দিবাকর করেছে অভিমান
ভালবাসা নিয়ে আসবে না কেউ।
গগনে ছুটোছুটি করে অভ্র
এই বুঝি হবে বারিপাত,
ডুবে যাবে সৈকত
হবে কুপোকাত।
যামিনী গভীর হবে
অশিতি’র চোখে জল,
আনন হবে মেঘাচ্ছন্ন
থেমে যাবে কোলাহল।