নিজেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসমর্থ এমন শিশু ও কয়েদিদের বাধ্যতামূলক মাদক ও মানসিক চিকিৎসার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এই গ্রীষ্মের গোড়ার দিকে কনজার্ভেটিভ নেতা বলেছিলেন, ধারণাটি তিনি খোলা মনে গ্রহণ করছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
আর বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গ্রুপের প্রসঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আমি বিশ^াস করি সেইসব শিশু ও কয়েদি, যাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সামর্থ্য নেই তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে মাদক ও মানসিক চিকিৎসা করা উচিত। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যাপারে এটা কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমি এখনো অনেক গবেষণা করছি।
দেশব্যাপী ওভারডোজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কমিউনিটিগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বাধ্যতামূলক মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদকাসক্তি সেবা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। বেশ কিছু প্রদেশে এগুলো সম্প্রসারণের কথাও বলা হচ্ছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সেইসব প্রস্তাব নিয়ে, যেগুলো করেছেন বাধ্যতামূলক চিকিৎসার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসক এবং রোগীদের অধিকার রক্ষা নিয়ে ভীত সিভিল লিবার্টি গ্রুপগুলোর কারণে।
পয়লিয়েভরকে নতুন এই অবস্থানে সহায়তা করেছে সংসদীয় কমিটিতে ১৩ বছর বয়সী ব্রায়ানা ম্যাকডোনাল্ডের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাবা-মায়ের দেওয়া সাক্ষ্য। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অ্যাবটসফোর্ডে গৃহহীন মানুষের এনক্যাম্পমেন্টে ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় তার।
তার মা সারাহ ম্যাকডোনাল্ড এবং সৎ বাবা ল্যান্স চার্লস স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটিকে বলেন, তাদের মেয়ে বড় ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিল এবং তার বয়স যখন ১২ বছর তখন থেকেই ব্যবস্থাপত্রের ও অবৈধ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সে সেবন করতে থাকে।
চার্লস কমিটিকে বলেন, ব্রায়ানার বাবা এবং আমি চিকিৎসকদের কাছে অনুনয় বিনয় করেছিলাম তারা যাতে মেয়েটিকে হাসপাতালে রাখেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বিষয়টি আমলে নেননি এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন এবং সে বাড়ি আসে।
চার্লস বলেন, সে যখন নিজের ক্ষতি করতে চায় তখন তারা মেন্টাল হেলথ অ্যাক্টের আওতায় পুলিশ ডাকতে পারতেন এবং তাকে হাসপাতালে নিতে পারতেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে নেননি।
পয়লিয়েভর বলেন, গৃহহীনদের তাঁবুর পরিবর্তে বাধ্যতামূলক ও অনৈচ্ছিক মানসিক ও মাদক সেবার প্রয়োজন ছিল এ ব্যাপারে তার মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই।