আর্কটিকে প্রথমবারের মতো টহল দেওয়া কানাডিয়ান একটি যুদ্ধ জাহাজ জুলাইয়ের গোড়ার দিকে আলাস্কা উপকূলে বেরিং উপত্যকায় একটি চীনা পোলার গবেষণা জাহাজের মুখোমুখী হয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ বলছে, বৈশ্বিক প্রতিযোগীরা অব্যাহতভাবে আর্কটিকে কানাডিয়ান অবকাঠামো সম্পর্কে অনুসন্ধান এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে।
একজন জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র ১ আগস্ট চীনা জাহাজের মুখোমুখী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই অঞ্চলে চীনা সামরিক টাস্ক গ্রুপের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার জবাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। বিভাগের মুখপাত্র ফ্রেডেরিকা ডুপাইস বলেন, এইচএমসিএস রেজিনা এবং এর সিএইচ-১৪৮ সাইক্লোন হেলিকপ্টার নিরাপদে ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে চীনা গবেষণা জাহাজ জু লঙ্গ ২ এর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জাহাজটি ওই সময় উপত্যকাটি দিয়ে যাচ্ছিল। তবে ফোর-ওয়ারশিপ ট্রাস্ক গ্রুপের সঙ্গে মুখোমুখী হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এগুলো সব সময়ই আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে।
চীনা সামরিক বাহিনীর ছোট জাহাজের বহর প্রথম শনাক্ত করে মার্কিন কোস্ট গার্ড। তারা দেশটির একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৬ জুলাই বিদেশি জাহাজ শনাক্ত করে। একচ্ছত্র এই অর্থনৈতিক অঞ্চল আলাস্কা উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
পরদিন এইচএমসিএস ভিক্টোরিয়ার কাছে কানাডিয়ান ফোর্সের ঘাঁটি এস্কুমাল্ট থেকে রওয়ানা করে। কানাডিয়ান নেভির প্যাসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার ডেভ মাজুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
মার্কিন কোস্টগার্ড ১০ জুলাই এক বিবৃতিতে বলে, চাইনিজ পিপল’স লিবারেশন আর্মি ভেসেলগুলো রেডিও কমিউনিকেশনের সাড়া দেয় এবং ওই অঞ্চলে তাদের উদ্দেশের কথা জানায়। সেটা হচ্ছে ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন্স।