যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মিলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুরক্ষা বাতিল করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এমন নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
মিলের কর্মকাণ্ড তদন্ত করে দেখতে প্রতিরক্ষা দপ্তরের মহাপরিদর্শকের কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হেগসেথ। মিলের সামরিক পদমর্যাদা পুনর্বিবেচনা করে দেখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা দপ্তরের চিফ অব স্টাফ জো কাসপার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চেইন অব কমান্ড ক্ষুণ্ন করাটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। মঙ্গলবার প্রথম ফক্স নিউজে খবরটি প্রকাশ হয়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল মার্ক মিলে। তবে পরে তিনি ট্রাম্পের সমালোচনা করেন এবং তাঁকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে মন্তব্য করেন।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষ দিনে ২০ জানুয়ারি যাঁদের আগাম ক্ষমা ঘোষণা করা হয়, তাঁদের মধ্যে মিলেও আছেন। বাইডেন বলেছিলেন, মিলে ও অন্যদের ‘অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিচারের লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত হবে না। ক্ষমা পেয়ে বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিলে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চীনের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় মিলের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই পেন্টাগন থেকে মিলের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়। পেন্টাগন থেকে মিলের দ্বিতীয় ও শেষ ছবিটিও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ।