প্রতীক্ষারা বড় নিষ্ঠুর হয়
তোমাকে আর আমার কাছে
আসতে দিতে চায় না।
আজ আর বাড়ি যাবো না
সময়টাকে নিবো হাতের মুঠোয়,
সময়ের কন্ঠ চেপে ধরে
চীৎকার করে বলবো-দাঁড়াও
ভয় দেখিও না আর ,
রক্তলাল চক্ষু সরিয়ে নাও এবার
আমি সময়টাকে ধরতে চাই,
নিষ্ঠুর পৃথিবীর অবাধ্য সময়ের টুটি চেপে ধরতে চাই।
প্রতীক্ষারা বড়ই নিষ্ঠুর হয়,
ওরা আমার কথা শুনে না।
আমার মস্তককেশে পাক ধরেছে,
কলমীলতার হাত দুটোতে
নীলবর্ণ রক্তনালীরা ভেসে উঠেছে শিরা-উপশিরায়,
গভীর সবুজ চক্ষু দুটি
ঘোলাটে ধূসর হয়ে গেছে।
কপালে ক’টা ভাঁজ পড়েছে
রাত্রি পোহায় তা গুনে গুনে।
অশান্ত যৌবনা দেহে
রক্ত কণিকারা শিহরণ জাগায় না আর,
সব শান্ত হয়ে গেছে
সময়ের প্রতিক্ষায়।
আমি প্রতীক্ষার সময়টাকে ধরতে চাই-
থামিয়ে দিতে চাই মহাবিশ্বের ঘড়ি নামক যন্ত্রটাকে।
আমি ঐ ঘড়ির কাঁটা চিবিয়ে খেতে চাই-
বার্ধক্যকে দুমড়ে মুচড়ে উপড়ে ফেলে
নিষ্ঠুর সময়কে হাতের মুঠোয় আনতে চাই।
বন্ধ করো ঐ ঘড়ির কাঁটা –
সময়রা যাক থেমে,
সাত সমুদ্র তের নদীর
ওপার থেকে ফিরে আসুক প্রিয়জনে,
প্রতীক্ষারা বড়ই নিষ্ঠুর হয়,
দেহ আছে দেহে জেগে
কিন্তু আত্মাকে মারছে
প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে।