বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে তন্মধ্যে বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে আমাদের দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন শিল্পের বর্জ্য পদার্থের কারণে মাটির উর্বরতা শক্তি বিনষ্টসহ সকল গুনাগুন নষ্ট করে ফেলছে। তবে অপচনশীল পলিথিন নিষিদ্ধকরণের পরও বাজারে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে।
এক সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় , ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ১১৫০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। ডাস্টবিন বাদে বিভিন্ন জায়গায় দৈনন্দিন অতিরিক্ত ৩০০০ টন আবর্জনা পড়ে থাকে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানের ডাস্টবিনের এসব ময়লা আবর্জনা পরিবহনের মাধ্যমে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে রাখা হয়। ময়লা আবর্জনা ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ সম্মন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এনজিওগুলোর মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল লাভ করা যেতে পারে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় বনায়ন কর্মসূচি সম্প্রসারণ করতে হবে। অনেকে অভিযোগ করেছেন ইটভাটা যে অঞ্চলে অবস্থিত সে অঞ্চলের মানুষের বিশেষ করে শিশুদের সর্দি, কাশি প্রায়শই হয়ে থাকে। এমনকি অনেক জনবসতি অঞ্চলে আবাদি জমিতে ইটভাটা করার মতো ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি | ইটভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকার সবুজ গাছগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় আর্সেনিক দূষণের কারণে বহুলোকের চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশে কৃষিকাজ করার জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নদী, নালা, খালবিলের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমাদের দেশের জলাধার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে | বিভিন্ন জলাধার কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে ভেবে দেখা প্রয়োজন। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে | পাহাড়ের সম্পদের উপর ভিত্তি করে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহনের মাধ্যমে রাজস্ব ভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করতে পারে। আজকাল আমাদের দেশে অনেক সময় হাসপাতালের সামনে, স্কুল কলেজের সামনে মোটর গাড়ির হর্নের শব্দে পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। আর শব্দদূষণের কারণে অনেকে বিভিন্নরকম অসুখ – বিসুখের সম্মুখীন হচ্ছে। নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাই শব্দ দূষণ রোধকল্পে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।